আজব কারখানা
পৃথিবীতে কোনো জীব-জন্তুই অমর নয়। সবারই একদিন মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করতে হবে। আপনি কখনো ভেবেছেন স্রষ্টা, সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষকে এত ক্ষমতা দিয়েছেন - কেউ বুদ্ধিজীবী, কেউ ডাক্তার, কেউ বিজ্ঞানী আবার কেউ কত কি। কিন্তু মানুষের আয়ু শেষ হয়ে গেলে এর কোন কিছুই কাজে লাগে না৷ যে অনেক অর্থ-বিত্ত, ধন-সম্পদের মালিক তাকেও একদিন পৃথিবীর সব কিছু ছেড়ে চলে যেতে হয়।
কখনো কি এর কারন খুজেছেন?
ধরুন, আপনি একটি দেশের রাজা। রাজ্য পরিচালনা করার ক্ষেত্রে প্রজাদের সম্মতি অনিবার্য। সে অর্থে যদি কেউ নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তবে তার শাস্তির ও ব্যবস্থা করেছেন। যেমন কারাগার অথবা জেলখানা। তবে কৃতকর্মের দন্ড ভোগের মেয়াদ শেষ হলে জেলখানা অথবা কারাগার থেকে রেহাই পাওয়ার ও সুযোগ থাকে। পুনরায় অপরাধ মূলক কর্ম করলে পূনরায় জেলখানা বা কারাগারেই গতি হয়। কিন্তু বুদ্ধিমান ব্যক্তি বারে বারে জড়জাগতিক দুঃখ কষ্ট লাভ করতে চাইবেন না। তেমনি সৃষ্টি কর্তাও প্রতিটি মানুষকে তার নিজ জ্ঞানে চলার অধিকার দিয়েছেন। পৃথিবীটা এক প্রকার জেলখানা স্বরুপ। সৃষ্টিকর্তা বিমূখ হওয়ার জন্য আমরা এই দুঃখময় জগতে অধিপতিত হয়েছি। এটা কেবল মাত্র আমাদের এক প্রকার সুযোগ দেয়া হয়েছে যেন আমরা তার বাধ্য হই। আমাদের নিজেদের মধ্য দিয়ে যেন তাকে সন্তুষ্ট করতে পারি।
এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন! তাহলে যাদের অনেক ধন-সম্পদ, অর্থ-বিত্ত ও প্রাচুর্য রয়েছে তারা এই পৃথিবীতে স্বর্গের মত জীবন যাপন করার সুযোগ পাচ্ছে কেন?
আসলে তারাও কোন না কোন মানুষিক, শারিরীক অথবা সামাজিক ভাবে অবশ্যই দুঃখ কষ্ট ভোগ করছে। হ্যা কেউ বা সুখে আছে সেটা সাময়িক ভাবে সারা জীবনের জন্য নয়। কারন মানুষের সুখ দুঃখ তার কর্মের উপর নির্ভর করে।
উদাহরণঃ ধরুন, আপনি একটি দেশের প্রধান মন্ত্রী। সেক্ষেত্রে আপনার টাকার কোন অভাব নেই। কিন্তু একজন ক্ষমতাবান লোকের সবচেয়ে বড় দুর্বলতাই হচ্ছে তার ক্ষমতা। ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার দুশ্চিন্তা মস্তিষ্কে একটি মানুষিক চাপ তৈরী করে। তাছাড়া দেশের প্রধান মন্ত্রী হিসেবে কিভাবে দেশ পরিচালনা করবেন সেটা ভাবতেই রাতের নিদ্রা হারাম হয়ে যায়। আর এইসব পরিস্থিতি ধনবান ব্যক্তির দুঃখ কষ্টের কারন হয়ে দাঁড়ায়।
আমরা প্রতিটি মানুষ একই মুদ্রার দুই পিঠ। আমাদের হাসলে কাদতে হয়, ভালো হলে খারাপ হয়, সুস্থ হলে অসুস্থ হয় আবার জন্মালে মৃত্তিকায় তার সমাপ্তি হয়। আর এভাবেই সৃষ্টি কর্তা পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
এই পোষ্টে অযুক্তিক কিছু পেলে সেটা কমেন্টে জানাতে পারেন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
আমাকে ফেসবুকে পেতে এখানে ক্লিক করুন।
কখনো কি এর কারন খুজেছেন?
ধরুন, আপনি একটি দেশের রাজা। রাজ্য পরিচালনা করার ক্ষেত্রে প্রজাদের সম্মতি অনিবার্য। সে অর্থে যদি কেউ নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তবে তার শাস্তির ও ব্যবস্থা করেছেন। যেমন কারাগার অথবা জেলখানা। তবে কৃতকর্মের দন্ড ভোগের মেয়াদ শেষ হলে জেলখানা অথবা কারাগার থেকে রেহাই পাওয়ার ও সুযোগ থাকে। পুনরায় অপরাধ মূলক কর্ম করলে পূনরায় জেলখানা বা কারাগারেই গতি হয়। কিন্তু বুদ্ধিমান ব্যক্তি বারে বারে জড়জাগতিক দুঃখ কষ্ট লাভ করতে চাইবেন না। তেমনি সৃষ্টি কর্তাও প্রতিটি মানুষকে তার নিজ জ্ঞানে চলার অধিকার দিয়েছেন। পৃথিবীটা এক প্রকার জেলখানা স্বরুপ। সৃষ্টিকর্তা বিমূখ হওয়ার জন্য আমরা এই দুঃখময় জগতে অধিপতিত হয়েছি। এটা কেবল মাত্র আমাদের এক প্রকার সুযোগ দেয়া হয়েছে যেন আমরা তার বাধ্য হই। আমাদের নিজেদের মধ্য দিয়ে যেন তাকে সন্তুষ্ট করতে পারি।
এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন! তাহলে যাদের অনেক ধন-সম্পদ, অর্থ-বিত্ত ও প্রাচুর্য রয়েছে তারা এই পৃথিবীতে স্বর্গের মত জীবন যাপন করার সুযোগ পাচ্ছে কেন?
আসলে তারাও কোন না কোন মানুষিক, শারিরীক অথবা সামাজিক ভাবে অবশ্যই দুঃখ কষ্ট ভোগ করছে। হ্যা কেউ বা সুখে আছে সেটা সাময়িক ভাবে সারা জীবনের জন্য নয়। কারন মানুষের সুখ দুঃখ তার কর্মের উপর নির্ভর করে।
উদাহরণঃ ধরুন, আপনি একটি দেশের প্রধান মন্ত্রী। সেক্ষেত্রে আপনার টাকার কোন অভাব নেই। কিন্তু একজন ক্ষমতাবান লোকের সবচেয়ে বড় দুর্বলতাই হচ্ছে তার ক্ষমতা। ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার দুশ্চিন্তা মস্তিষ্কে একটি মানুষিক চাপ তৈরী করে। তাছাড়া দেশের প্রধান মন্ত্রী হিসেবে কিভাবে দেশ পরিচালনা করবেন সেটা ভাবতেই রাতের নিদ্রা হারাম হয়ে যায়। আর এইসব পরিস্থিতি ধনবান ব্যক্তির দুঃখ কষ্টের কারন হয়ে দাঁড়ায়।
আমরা প্রতিটি মানুষ একই মুদ্রার দুই পিঠ। আমাদের হাসলে কাদতে হয়, ভালো হলে খারাপ হয়, সুস্থ হলে অসুস্থ হয় আবার জন্মালে মৃত্তিকায় তার সমাপ্তি হয়। আর এভাবেই সৃষ্টি কর্তা পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।

সবাইকে ধন্যবাদ।
আমাকে ফেসবুকে পেতে এখানে ক্লিক করুন।

পাই নাই। সেটাও জনালাম
ReplyDelete